নোয়াখালীর এক ছাত্রের অনলাইন এক্সামের অভিজ্ঞতা!!
বন্ধুরা তোরা বেজ্ঞুনে জানস এখন দেশব্যাপি আলোচনার বিষয় অনলাইন হরীক্ষা। তো আই যেহেতু প্রাইভেট ভার্সিটির ছাত্র তাই বেজ্ঞুনের মত আইজ আইও ১ম বারের মত অনলাইন হরীক্ষা দিয়েলাছি। তো আমার অনলাইন হরীক্ষার অভিজ্ঞতা তোরগো সামনে তুলে ধরিয়ের হুন তাইলেঃ-
অনলাইন হরিক্কা সীমিত আকারে ফিরে দেখা শেষের এক দিনঃ
১। কোন বেঞ্চ এ বমু তার কোন টেনশন আছিলো না।
২। ফাস্ট চুতিয়া গো সামনে পিছে বসার টেনসন নাই
৩। কোন বেঞ্জ এ বসলে স্যারেরগো চোকে হত্তাম ন তার টেনশন আছিলো না।
৪। ফাস্ট টাইম এক্সাম দিলাম কোন ঘন্টার শব্দ হাইলাম না।
৫। কেও ক্যালকুলেটর খুজেনো।
৬। এক কলম দিয়ে হরিক্কা শেষ।
প্রশ্ন পাইছি ৭-৬-২০২০ সন্ধ্যা ৭ টার দিকে। হাই মত্ত দিলাম বন্ধু রে ফোনঃ
আমি- বন্ধু সব লিখছোক?
বন্ধু – না ২ দিন সময় আছে। আস্তে ধীরে লিখুম নে।
আমি – আইচ্ছা ঠিক আছে আনসার খুজে বের করো তারপর পিক তুলে দিও। আর পারলে আমার আইডি দিয়ে জমা করে দিও। ওকে জলদি কর।
যাক বন্ধু তো সব রেডি করতেছে। টেনশন নাই……………
৮-৬-২০২০ সকাল ১০ টা বাজে ১ নং আনসার রেডি। যাক লেখা শুরু করি তো খাতা কলম কই? মাহি (ভাগ্নি) তোর আম্মারে ক নতুন একটা খাতা দিতে যাক খাতা পেলাম, কিরে কলম দিলিনা।
লেখা শুরু ১ নং শেষ বাহ কোন কাটা চেরা নাই টিনের চালে কাক আমি তো অবাক!!
মনে মনে ভাবলাম গুরে আসি প্রচুর কাজ আছে। অনলি চিল আর চিল!!
বিকেল ২ টা বাজে ২ নম্বর আর ৩ নম্বর প্রশ্ন রেডি। আমারে ঠেকায় কে এক্টু হেটে আসি সব লিখে জমা দিমু।
বিকেল ৫ টা যাহ শালার বেশি সময় নষ্ট করলাম ৩০ মিনিট রিলাক্স মুডে লেখা শেষ।
কিরে আমার তো নেট নাই নেট কিনলাম ৬.২০। ৪০ মিনিট টাইম আছে হটাত মারাত্তক টেনশান এখন যদি কারেন্ট যায় তাহলে আমার কি হবে আল্লাহ নেট এর যে স্পিড সাথে কারেন্ট এর টেনশন হলে থাকলেও টেনশন কম থাকতো
অবশেষে সাবমিট করলাম।
৭। এএএএএ পেছনে কে আজাইরা কথা বলে? স্যারদের এই বাণী টা মিস করলাম।
৮। স্যার ইমারজেন্সী বাইরে যাব। এই কথা আজ হলের কেও বলেনি।
বিঃদ্রঃ বানানের স্বার্থে এবং সহজে উচ্চারণের জন্য আসল লেখা থেকে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন করা হয়েছে।
এই রম্য অভিজ্ঞতা টি পাঠিয়েছেঃ শাহাদাত হোসেন মাসুম,
ছাত্র, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজি ( বিইউবিটি )